সময় নিউজ সিলেট টিভি সাংবাদিক আমিন কে আবার ও প্রাণে হত্যার হুমকি দিল মাদক ব্যাবসায়ী মিজান। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন ভয়ংকর অপরাধীরা দিনের পর দিন অপরাধ করছে, করছে চাঁদাবাজি, মাদকের জালে যুব সমাজ, দিনের পর দিন সাধারণ মানুষ হচ্ছে হেনস্তা।

প্রতিবাদে মামলা হলেও তা তুলে না নিলে প্রাণে হত্যা করবে বলে আবার ও হুমকি দেয় সময় নিউজ সিলেট টিভি-সাংবাদিক আমিন কে- কাস্টঘরের বেপোরুয়া মাদক ব্যাবসায়ী মিজান।

সিলেটে মাদক সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জের ধরে প্রতিনিয়ত-(সময় নিউজ সিলেট টিভি-সম্পাদক ও প্রকাশক-সাংবাদিক (ক্রাইম রিপোর্টার) মো:আমিন আহমেদ কে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে সিলেটের মাদক জোন হিসেবে চিহ্নিত কাস্টঘরের মাদক ব্যবসায়ীদের মদতদাতা, ত্রাণকর্তা ও র‌্যাবের সোর্স পরিচয়দাকারী ইয়াবা মিজান।

সময় নিউজ সিলেট টিভি-সাংবাদিক মোঃ আমিন আহমেদ গত দু মাস আগে ইয়াবা মিজানকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে সাংবাদিক মো:আমিন আহমেদ কে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে প্রতিনিয়ত শাসিয়ে যাচ্ছে। মুঠোফোনে ফোন করে সাংবাদিক’র হাত, পা-ভাঙ্গাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওই বেপোরুয়া ইয়াবা মিজান।

-সময় নিউজ সিলেট টিভি-সম্পাদক ও প্রকাশক’ সাংবাদিক মো:আমিন আহমেদ জিডি’র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে “নগরীর কাস্টোঘরে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী মিজান বেপরোয়া” শিরোনামে দৈনিক বজ্রকন্ঠ অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। এরপর সংবাদটি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সহ স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে এবং সর্বশেষ দৈনিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল “ডিজিটাল বাংলা নিউজ” এ “সিলেট প্রশাসনের সোর্স পরিচয়কারী মিজান মাদক ব্যবসায় অপ্রতিরোধ্য” শিরোনামে গত মাসের ২৪ তারিখ প্রকাশিত হয়।

তিনি আরো জানান, কাস্টঘরের মহিলা মাদক ব্যাবসায়ীর কাছে টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের করেন তিনি। সংবাদ প্রকাশের কারণে বিবাদী উনাকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। বিগত প্রায় ১০ দিন যাবৎ উল্লেখিত বিবাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১৮ ৪৪১৬৬৩ নাম্বার হইতে উনার ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা সহ প্রাণে হত্যা করা হবে মর্মে হুমকি প্রধান করে আসছে। উনি বিবাদীর পরিচয় জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এ ধরণের কোন বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিলে তাকে প্রাণে হত্যা করা হবে বলে শাসায়। পরে তিনি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে নিজের ও উনার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য শাহপরান (রহঃ) থানায় হাজির হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন যাহার নং ১৫৫২।

জানা গেছে, নগরীর কাস্টঘরে রয়েছে মিজানের বিশাল বড় আস্তানা যা আন্ডারগ্রাউন্ড “ভাঙ্গাঘর” নামে পরিচিত। সাধারন মানুষ মাদক ব্যবসায়ী মিজানের বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতিবাদ করে তবে তাকে পরতে হয় বিভিন্ন হামলা-মামলা আর হুমকির মুখে।

গত কিছু দিন আগে সিলেটের মাদক জোন নামে চিহ্নিত কাস্টোঘর থেকে রাধা রাণী নামের একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতার করছে র‌্যাব-৯ সিলেটের একটি দল। আর সেই সোর্স পরিচয়দানকারী ইয়াবা মিজান ওই মহিলা মাদক ব্যবসায়ী রাধা রানীকে র‌্যাবের কাছ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন।
সিলেটের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পাপ্পু লাল, পান্নু লাল, শান্তি রানী ও বাঘা লাল সহ নাম না জানা আরো অনেক মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে রয়েছে সোর্স পরিচয়দানকারী ইয়াবা মিজানের হটলাইন।
সোর্স পরিচয়দানকারী ইয়াবা মিজানের বিরুদ্ধে সিলেট জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা ও চুরি সহ ছিনতাইয়ের মামলাও রয়েছে।

সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মোশারফের ভাই হলেন প্রশাসনের সোর্স পরিচয়কারী মিজান। গত ২০০৫/২০০৬ সালে র‌্যাবের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে মারা যায় মোশাররফ। তার পর থেকে বেপোরয়া হয়ে উঠেছে সোর্স পরিচয়কারী মিজান।

এ বিষয়ে মিজানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মিজানের বক্তব্য : (প্রথমে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ)। আমার বিরুদ্ধে যা পারিস লেখ তাতে আমার বিন্দু পরিমাণ কিছু যায় আসে না। আরে যা যা যেখানে আমার নামে ১৯ টা মামলা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন আমাকে বাঁচিয়ে নিয়ে যায়, আমাকে ধরতে সাহস পায়না বা আসে না আর তুই কি একটা সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করবি। কর, করে কি করবি? তুই জানিস আমি কে?, আমি মোশাররফের ভাই।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আবু মুছা মো শরিফুল ইসলাম’র সাথে যোগাযোগ করলে উনি জানান, আমাদের এরকম কোন সোর্স নেই, আর যদি র‌্যাবের কথা বলে কেউ কোন ধরনের খারাপ কার্যকালাপে লিপ্ত হয় তবে আমরা তার প্রতি আইননানুগ ব্যাবস্থা নিব।

শাহপরান (রহঃ) থানার অফিসার ইনর্চাজ জিডি’র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।